মঙ্গলবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

| অগ্রাহায়ণ ২০ ১৪৩১

পরীক্ষামূলক

হাওর বাংলা প্রতিদিন.কম || HaorBangla Protidin.com

হাওরের কীর্তিমান : কৈবর্তরাজ গুরুদয়াল সরকার

প্রকৌশলী তপন রায়

প্রকাশিত: ০২:৩৮, ২৫ এপ্রিল ২০২১

আপডেট: ০৬:৩৭, ২৫ এপ্রিল ২০২১

হাওরের কীর্তিমান : কৈবর্তরাজ গুরুদয়াল সরকার

কিংবদন্তী আছে, ছান্দিনা বিলের প্রথম খেওয়ের মাছ বিক্রির টাকা হতে গুরুদয়াল সরকার কলেজের জন্য দান করেছিলেন ৫০০০০/- টাকা। এই কাজে তাঁকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন পুত্রবধু মহামায়া রানী সরকার। ‘খেও’ মানে ক্ষেপের ভাটি অঞ্চলের কথ্য রূপ। সালটা ১৯৪৫। তখনকার দিনে এমন পল্লীতে অনেকে চোখেও দেখতে পেতোনা টাকা বা টংকা। সাধারণ বিক্রি বাট্টা প্রায়ই হতো ধান বা ‘চুচা’র বিনিময়ে। এটা নিজের শৈশবেই দেখা। শুধু শুধু হাওয়ার উপর কিংবদন্তীর জন্ম হয় না। পুরোপুরি সত্য না হলেও, ভিত্তি লাগে solid। তবে মাছ কেমন মিলতো ভাটি অঞ্চলের বিলে আর কেমন দানশীল ছিলেন গুরুদয়াল সরকার, এর কিছুটা ধারণা মিলে । 

গুরুদয়াল সরকারের গ্রামটির নাম কাঠৈর*১। এটি কিশোরগঞ্জ জিলার ইটনা উপজিলায়। ইউনিয়ন ধনপুর। ধনু নদীর তীরে ধনপুর বাজার। অনেক গিয়েছি ধনপুরের পাশ দিয়ে শৈশবে। লঞ্চে করে সুনামগঞ্জ জিলার সাচনা হতে হবিগঞ্জ জিলার আজমিরিগঞ্জ যেতে। ধনপুরে যেয়ে বামে ঢুকে পড়তে হতো ধনু নদী হতে শাখা নদীতে। জিলা ভিন্ন হলেও ভাটি অঞ্চলের নানান এলাকার মধ্যে যোগাযোগ ছিলো ঘনিষ্ঠ। সাচনা, খালিয়াজুরি, ইটনা, আজমিরিগঞ্জ, বিথঙ্গল, কাকাইলছেও, জয়সিদ্ধি, কাঠৈর – ভিন্ন ভিন্ন জিলার কিন্তু পরষ্পর ঘনিষ্ঠ ভাটি অঞ্চলের সব জনপদ। 

এখনো কাঠৈরে অক্ষত আছে গুরুদয়াল সরকারের মূল বাড়ি, সেখানে বাস করছেন গুরুদয়াল সরকারের উত্তরসুরীরা। 
এই বাড়ি দেখতেই গত বর্ষাতে যাওয়া হয় কাঠৈর। কি থৈথৈ পানি চতুর্দিকে! শুধু কাঠৈর নয়, আশেপাশের সব গ্রামে। দেখে মনে হলো যেন, এতো আমারই গ্রাম! 
নিজেও বড় হয়েছি এমন গ্রামে। বাড়ির কান্দায় আছড়ে পড়া ঢেউ; আর না বলে না কয়ে হাওর মাঝে হঠাৎ আসা ‘আফাল’-এর তান্ডব। হাওর মাঝে ‘আফাল’ তান্ডবে হরহামেশা নৌকাডুবি। এই নিয়ে ভাটি তথা হাওর অঞ্চলের জীবন। শত শত এমন গ্রাম আছে হাওর মাঝে। এর মাঝেও এক সময় অনেক গ্রামের খ্যাতি ছড়িয়েছিলো সম্পদে বৈভবে। শুধু তাই নয়, ‘জলে ভাসা’ এমন পল্লী থেকেও উঠে এসেছিলেন কিংবদন্তীতুল্য একাধিক কীর্তিমানেরা। 
কাছাকাছি এমন তিনটি গ্রামের কথা বলতে পারি জানার মধ্যে। হবিগঞ্জ জিলার বিথঙ্গলের ছিলেন বৃন্দাবন দাস। মাইল ছয়েক দূরেই দ্বিতীয় গ্রাম জয়সিদ্ধি, আরো মাইল তিন চার দূরের এই কাঠৈর। কাছাকাছি হলেও গ্রাম তিনটি ভিন্ন দুই জিলায়। শেষের দুটি কিশোরগঞ্জে। 
জয়সিদ্ধির ছিলেন আনন্দমোহন বসু আর কাঠৈরের গুরুদয়াল সরকার। এই তিনজনের নামেই তিন জিলা সদরে খ্যাতনামা তিন কলেজ। হবিগঞ্জের বৃন্দাবন কলেজ, ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজ আর কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজ। 

আদিকাল হতেই বৃহত্তর শ্রীহট্ট ও ময়মনসিংহের মাঝে অনগ্রসর এই হাওর অঞ্চল। সম্পদ বলতে শুধু ধান আর মাছ। হাতিয়ার বলতে লাঙ্গল আর জাল। এই সম্বল করেই এসব গ্রামে গড়ে উঠে শান বাঁধানো ঘাটের পুকুর আর চুনসুরকির তৈরী সব প্রাসাদ। হেমন্তে হাওরে বুনা ধান আর হাওর মাঝের অগুনিত বিলের মিঠে পানির মাছ। বাইরে থেকে হাওর অঞ্চলে যেয়ে এখনো তাজ্জব হতে হয় মাছের প্রাচুর্য আর বৈচিত্র দেখে।

আনন্দমোহন বসুর উপাধি বিলেতের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হতে পাওয়া র‍্যাংলার। গুরুদয়াল সরকার সম্পর্কে কোথাও বলা টোল পাশ, কোথাও বলা নিরক্ষর। অন্ত্যজ বলে পরিচিত মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের ছিলেন তিনি। ভাটি অঞ্চলে এই সম্প্রদায়ের সম্পদ বিত্ত অর্জন করেছিলেন অনেকেই, কিন্তু তেমন চল ছিলো না লেখাপড়ার। অমর সাহিত্যিক অদ্বৈত মল্লবর্মন অথবা হালের একুশে পদক প্রাপ্ত বিশিষ্ঠ সাহিত্যিক গবেষক হরিশংকর জলদাস কিন্তু মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের। এঁরা হচ্ছেন বিশিষ্ট ব্যতিক্রম। তাই, লেখা পড়া করলেও টোলের বাইরে যাবার সুযোগ ছিলো না গুরুদয়াল সরকারের। এখনো তো উপজেলা সদর ইটনারই সরাসরি সড়ক যোগাযোগ নেই কিশোরগঞ্জের সাথে । আবার ইটনা থেকেও হাওর পাড়ি দিয়ে তার পর ধনপুর, কাঠৈর! বুঝা যায়, জিলাসদর কিশোরগঞ্জের সাথে গুরুদয়াল সরকারের যোগাযোগ ছিলো অল্পই। নইলে তৎকালীন মহকুমা সদরে বড় একটা বাড়ি থাকার কথা ছিলো। কারণ বিত্তের আর সম্পদের কমতি ছিলো না গুরুদয়াল সরকারের। হাওরে ধানি জমি ছিলো প্রচুর। বছরে ধান বিক্রি করতেন ২ হাজার মণ। হাল ছিলো ৪০টি, নৌকা অন্তত ৭০টি। গাঁয়ের এক মাথায় বাড়িটি তিন দিকে জল। দেখলে বুঝা যায়, ৭০ কেন, শ'খানেক নৌকা স্বচ্ছন্দে বেঁধে রাখা সম্ভব বাড়ির তিন দিকের কান্দায়। জলমহাল বা বিল ছিলো হারিয়া, ছান্দিনা, মুলদার, দৈইলং, পুরান ডোবার বিল ও ছায়াবিল। বড় ব্যবসা ছিলো মাছের, শুঁটকির ব্যবসা ছিলো ধনপুর ও রংপুরে । সারা বছর বাঁধা কারিগরেরা জাল বুনতেন তাঁর বাড়িতে। 
কারুকার্যময় আয়তাকার দালানের শীর্ষে গণেশের মুর্তির দুপাশে লিখা “সিদ্ধিদাতা গণেশায় নমঃ”। এর থেকে অনুমান হয়, সম্পদের মূল উৎস ছিলো সওদাগরী বা ব্যবসা। ১৩৩৬ বাংলা, ১৮ অগ্রহায়ণ এ স্থাপিত দুর্গা মন্ডপ হতে বুঝা যায় ১৩৩৬ ( ১৯২৯ খৃষ্টাব্দ) এর আগে হতেই বাড়িতে প্রচলন ছিলো দুর্গা পূজার। স্থায়ী মন্ডপ হয়তো হয়ে থাকবে পরে। বাড়ির সামনে পেছনে দু পাশে উন্মুক্ত জায়গা। কিন্তু শুধু এই বাড়িটিই এই বৈশিষ্ঠ্যের। নইলে গায়ে গায়ে লাগা উঠোন বিহীন সারি বাঁধা ঘরের অন্য প্রায় সব বাড়ি । এমনটা সাধরণত হয়ে থাকে ভাটি অঞ্চলের মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের গ্রামগুলিতে। কিশোরগঞ্জে নিজের বসতবাড়ি না থাকলেও মহকুমা সদরে কৈবর্ত রাজ হিসাবে খ্যাতি ছিলো গুরুদয়াল সরকারের। 

অস্থায়ীভাবে একতলা এক ভবনে ‘কিশোরগঞ্জ কলেজ’ এর শুরু ছিলো ১৯৪৩ সালে। তখনকার দিনে বিশেষ শর্ত থাকতো কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পেতে। এমন কিছু শর্ত পালনে প্রয়োজন হয় বিস্তর অর্থের। এমন পরিস্থিতিতে চাঁদা সংগ্রহ করা হতো গ্রামে গ্রামে ঘুরে। যেমন ১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠিত সুনামগঞ্জ কলেজের স্বীকৃতি পেতে প্রয়োজন পড়েছিলো ৫০,০০০/- টাকার। সেখানে সর্বোচ্চ চাঁদা ৫০০০ টাকা দিয়েছিলেন গৌরীপুরের জমিদার বীরেন্দ্র কিশোর রায়। পরে কলেজের বর্তমান ২৫.৬৫ একর ভূমির অধিকাংশ দান করেন হাছন রাজার পৌত্র জমিদার দেওয়ান আনোয়ার রেজা চৌধুরী। 
এই কলেজের ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে অর্থাভাবে। এই কলেজের জন্যও চাঁদা দিয়েছেন হয়বতনগরের সাহেব বাড়ি, গাঙ্গাটিয়া জমিদার বাড়ি। কিন্তু কিংবদন্তী বা মিথ গড়ে উঠেছে গুরুদয়াল সরকারকে ঘিরেই। শ্রদ্ধেয় Abu Forhad এর চমৎকার ভাষ্যে –
“কিংবদন্তীতে জেনেছি এমন কাহিনী- বাংলার সাধারন জেলে গুরুদয়াল কে নিয়ে মিথ-- ইংরেজ এসডিও বা মহকুমা হাকিম মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছেন অনুদানের জন্য। শহরে একটি কলেজ স্থাপন করতে। অনেক মানুষ তাতে দান করেছেন। কলেজটি হওয়ার কথা ছিল সম্রাজ্যের মহারাজের নামে কিংবা বড় লাট বা ছোট লাটদের নামে। অনুদানের জন্য ঘুরতে ঘুরতে কৈবর্ত গুরুদয়ালের বাড়ীর সামনে এলে অনেকে প্রস্তাব করলেন গুরুদয়ালের কাছেও যেন অনুদান চাওয়া হয়। 
সাহেব গুরুদয়ালের উঠোনে দাঁড়িয়ে গুরুদয়ালের সাথে কথা বললেন। 
ধীবর গুরুদয়াল এক কথায় রাজী, হাসিমুখে ঘরে গেলেন টাকা আনতে। অনেক্ষন গুরুদয়াল আসছেন না দেখে সাহেব ইতস্তত করছেন। কতক্ষন পর দেখলেন গুরুদয়ালের বসতঘর নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। সবাই হতবাক কি হচ্ছে ! 
কতক্ষন পর গুরু দয়াল আসলেন ঝোলা ভর্তি কয়েন এবং টাকার নোট নিয়ে, তা সাহেবের হাতে তুলে দিলেন। গুরুদয়ালের সব সন্চয় ছিল ঘরের বাঁশের খুঁটির মধ্যে। প্রায় অনেকগুলি খুঁটি গুরুদয়াল কেটে তার সমুদয় সন্চয় সাহেবের হাতে তুলে দিলেন ।  
গুনে দেখা গেল এ পর্যন্ত যত অনুদান পাওয়া গিয়েছে গুরুদয়ালের দানের পরিমান তার চেয়েও বেশী। এই দান করতে পেরে গুরুদয়াল কৃতার্থ। সাহেব ও কলেজ কমিটি অনুধাবন করলেন এক সাধারণ বাঙ্গালী জেলের মহতাব, সব গল্প ও ইতিহাসকেও হার মানাতে পারে। তারপর সবাই সিদ্ধান্ত নিলেন কলেজটি হবে গুরুদয়ালের নামে।

আমাদের বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপ্রতি জনাব মো. আবদুল হামিদ, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি জনাব শাহাবুদ্দীন আহাম্মদ গুরুদয়াল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন- আরো অনেক অসাধারন ব্যক্তিত্ব  উপহার দিয়েছে গুরুদয়াল কলেজ। 
আবারো বলতে হয়, হাওয়ার উপর কিংবদন্তী হয় না। এসব কিংবদন্তী, প্রচলিত কথামালার মাঝ থেকেই নিজের বিচার বিবেচনা দিয়ে আমাদের বুঝে নিতে হবে প্রকৃত সত্য। একই সময়ে জমিদাররা যেখানে দিতেন সর্বোচ্চ ৫০০০/- টাকা (সুনামগঞ্জ কলেজের জন্য গৌরীপুরের জমিদার বীরেন্দ্র কিশোর রায়ের দেয়া), টোল পাশ অথবা নীরক্ষর ধীবর গুরুদয়াল দিয়েছিলেন ৫০,০০০/- টাকা। এই টাকাতেই সংকট থেকে উত্তরণ হয় কিশোরগঞ্জ কলেজের। কলেজ ভবন ও মাঠের জন্য কেনা হয় প্রয়োজনীয় জমি। নির্মিত হয় একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনসমুহ।১৯৪৫ সালে কলেজটি স্থানান্তরিত হয় গুরুদয়াল সরকারের দেয়া টাকায় কেনা বর্তমান অবস্থানে। নুতন স্থানের কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ১৯৪৫ সালে আমন্ত্রণ জানানো হয় গুরুদয়াল সরকারকে। দুই নৌকা বোঝাই আম, আনারস ও মিষ্টি নিয়ে কলেজে হাজির হন তিনি। ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারি ও অভ্যাগত সকলেই আপ্যায়িত হন কৈবর্ত্যরাজের নিয়ে আসা দরদমাখা ফলান্ন ও মিষ্টান্নে।

একটা ইস্যু ছিলো, গুরুদয়াল সরকারের পরিবারের উত্তরাধিকারীর সুপারিশে চারজন ছাত্রছাত্রী বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ পাবার চুক্তি প্রসঙ্গে। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানতে চেয়েছিলেন, ‘কোন সম্প্রদায়ের চারজনকে আপনি এ বৃত্তি দেবেন?’ মহাপ্রাণ গুরুদয়ালের জবাব ছিলো, ‘সম্প্রদায় আবার কি? আমি মাছ বিক্রি করে খাই। আমার মাছ হিন্দু-মুসলিম, মালী-ঢুলি, চাঁড়াল-মেথর-ডোম- সবাই কিনে খায়। বৃত্তি পেলে সব জাতের ছেলেমেয়েই পাবে।” এই ছিলেন টোল পাশ করা গুরুদয়াল কৈবর্ত্য! সত্যই এক অসাধারণ দয়াল মানব! পরিশেষে মহাপ্রাণ এই ব্যক্তির উদার এই দানের স্বীকৃতিতে কলেজ প্রাঙ্গণে ২০০৯-এ স্থাপন করা হয় তাঁর আবক্ষ ভাষ্কর্য। 

তবে, দুঃখের বিষয় ১৯৭৩ সালে সরকারীকরণের পর নাম পালটে যায় তাঁর বাড়ির প্রাঙ্গণে মায়ের নামে প্রতিষ্ঠা করা 'যশোধাময়ী ফ্রি প্রাইমারি স্কুল’-এর। নুতন নাম হয় কাঠৈর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখনো আছে পরিত্যক্ত স্কুল বিল্ডিংটি। অতি সম্প্রতি আর সি সি কলামের উপর করা হয়েছে নুতন হলুদ স্কুল বিল্ডিং। হেলে থাকা পুরাতন স্কুল ভবনটি নিশ্চিহ্ন হলে স্মৃতিটুকুও মুছে যাবে 'যশোধাময়ী ফ্রি প্রাইমারি স্কুল’-এর। সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রীয় নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন বাংলাদেশে 'যমোধাময়ী' নামটি রেখে সরকারিকরণ করা যেতো নাকি এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি?


★লেখক: প্রকৌশলী তপন রায়, একজন বুয়েটিয়ান, অবসরপ্রাপ্ত উপমহাব্যবস্থাপক, বাংলাদেশ শিল্প উন্নয়ন ব্যাংক এবং একজন অক্লান্ত শখের পর্যটক।