মঙ্গলবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

| অগ্রাহায়ণ ২০ ১৪৩১

পরীক্ষামূলক

হাওর বাংলা প্রতিদিন.কম || HaorBangla Protidin.com

হাওরে হোক মৎস্য বিপ্লব

কাসমির রেজা

প্রকাশিত: ১৮:১৬, ১৫ এপ্রিল ২০২১

আপডেট: ১৯:৩৪, ১৫ এপ্রিল ২০২১

হাওরে হোক মৎস্য বিপ্লব

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রকৃতি ক্রমেই যেন বিরূপ হয়ে উঠছে হয়ে উঠছে অচেনা কোন বছর অকাল বন্যা, কোন বছর খরা কিংবা অন্য কোন দুর্যোগে নষ্ট হচ্ছে হাওরের ধান তাই ক্রমেই হাওরে ধান চাষে অনিহা প্রকাশ করছেন হাওরের কৃষকরা কেউবা অভ্যাস বশতঃ, কেউবা আর করার কিছু নেই বলেই নিরুপায় হয়ে ধান চাষ করছেন এক ফসলী বোরো ধানের উপর কৃষকরা যেন কোন ভাবেই আস্থা রাখতে পারছেননা এসব কথা আমরা যখন বলছি ঠিক তখনি আমরা দেশে মৎস চাষে একের পর এক সুসংবাদ পাচ্ছি বাংলাদেশ গত বছর মৎস চাষে সারা বিশ্বে তৃতীয় হল মাছের উৎপাদন বাড়ার দিকে দ্বিতীয় এর সবই হচ্ছে সরকারের বা মৎস গবেষকদের সৃজনশীল আন্তরিক প্রচেষ্ঠার ফলে দেশের মাছের উৎপাদন অঞ্চলকে যদি কয়েকটা ভাগে ভাগ করি তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য অঞ্চল হবে - সমুদ্র, সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চল, ইলিশ অধ্যুষিত অঞ্চল প্লাবন ভুমি প্লাবন ভুমির বড় একটা এলাকা জুড়ে হাওর হাওরে জলমগ্ন এলাকার আয়তন প্রায় আট লক্ষ ঊনসত্তর হাজার হেক্টর নিঃসন্দেহে বিশাল একটি এলাকা দেশে মাছের উৎপাদন এলাকা বিবেচনায় এটি একটি বিরাট অংশ কিন্ত আয়তনের দিক হতে হাওর এলাকা যত বড়, মাছ উৎপাদনের দিক দিয়ে তার অংশ তত বড় নয় বিশেষ করে ইলিশ উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্যের পর তা আরও কমেছে হাওরে মাছের সম্ভাবনার বিষয়টি যেন অজানাই রয়ে গেছে তাই ইলিশের বা সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য যত তৎপরতা লক্ষ করা যায় হাওরে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য তত তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে না কিন্তু এই মুহুর্তে ধানের বিকল্প হিসেবে মাছের উপর জোর দেওয়া হাওরবাসীর জন্য অনিবার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করলে হাওরে মাছের উৎপাদন অন্তত পাঁচ গুন বাড়ানো সম্ভব এতে শুধু যে হাওরবাসীই উপকৃত হতেন তা নয় এই সুস্বাদু মাছ বিদেশে রপ্তানি করে দেশের অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হতে পারত বাড়ত জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি গরীব মানুষের আয় বাড়ার ফলে কমতো আয় বৈষম্যও এজন্য হাওরে নিতে হবে কিছু সৃজনশীল সাহসী উদ্যোগ যা অন্যান্য এলাকায় ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে

হাওরে অনেক সুস্বাদু মাছ পাওয়া যায় যার বাজার মূল্য অন্য অনেক মাছের চেয়ে বেশী দেশের মোট উৎপাদিত চিতল মাছের ৮০ ভাগই আসে সুনামগঞ্জের হাওর হতে এক্ষেত্রে সুন্দরপুর টাঙ্গুয়ার হাওরের আলম ডোয়ারের কথা বিশেষভাবে উল্যেখযোগ্য আলম ডোয়ারে এখন আর সেভাবে চিতল মাছ পাওয়া যাচ্ছে না প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে তা আবার আগের পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব মৎস্য অধিদপ্তর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের তথ্য মতে, দেশের প্রায় আড়াইশ প্রজাতির দেশি মাছের মধ্যে ২০০ প্রজাতির মাছ হাওর অঞ্চলে পাওয়া যায় এর মধ্যে ৬৩ বিপন্ন প্রজাতির মাছের দেখা মিলে হাওরে হাওরগুলোতে একসময় প্রচুর মাছ পাওয়া যেত জনশ্রুতি আছে টাংগুয়ার হাওরের মাছের জন্য নৌকা চলাচলে বিঘœ ঘটত কিন্তু এখন আর সেভাবে মাছ পাওয়া যায় না হাওরের বাজার এখন চাষের পাঙ্গাসের দখলে জেলেদের ভাষ্য মতে, আগে সারাদিনে একটি ছোট নৌকা দিয়ে কম করে হলেও পাঁচ-সাত হাজার টাকার মাছ ধরা যেত এখন ধরা পরে পাঁচ-সাত টাকার মাছ মাছের ফলন বাড়াতে পারলে হাওর পারের জেলেদের আয় রোজগার বাড়ত

হাওরে মাছের ফলন বাড়াতে হলে প্রজনন মৌসুমে মা মাছ পোনা মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে বন্ধ করতে হবে মাছের প্রজাতি ধ্বংসকারী খুনা জাল কারেন্ট জালের ব্যবহার একই সাথে হাওরে মাছের পোণাও অবমুক্ত করতে হবে হাওরে জৈষ্ঠ থেকে শ্রাবণ এই তিন মাস মাছ ধরা বন্ধ রাখলে মাছের উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে হাওরবাসী ধারণা করছেনপদ্মায় এখন যেভাবে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পরছে তেমনি হাওরেও ধরা পরবে রুই, কাতলার মত সুস্বাদু মাছ প্রাকৃতিক উৎস হতে খাবার সংগ্রহ করে বলে হাওরের মাছের স্বাদ একটু বেশিই হয় তিন মাস মাছ ধরা বন্ধ রাখার কথা বললে জেলেরা ঐসময় আর্থিক সংকটে পড়বেন সামান্য কয়টি মাছ বিক্রী করেইতো তারা দৈনন্দিন খরচ মেটানএজন্য তারা যে কয়দিন মাছ ধরা বন্ধ রাখবেন সে কয়দিন সরকারের কাছে প্রণোদনা দাবি করেন জেলেদের প্রণোদনা দিয়ে জাটকা নিধন বন্ধে সরকার ইতোমধ্যে সফলতা দেখিয়েছে সেক্ষেত্রে সরকার লক্ষ ২৪ হাজার জেলেকে পরিচয়পত্র দিয়ে তাদের বছরে তিন মাস সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় এনেছে ইলিশ উৎপাদনে আমাদের এই সফলতায় বিস্মিত হয়েছেন অন্যান্য দেশের মৎস গবেষকরা হাওরের জেলেদের এমন প্রণোদনা দিলে হাওরেও মৎস বিপ্লব ঘটবে মাছের ফলন বেড়ে যাবে কয়েকগুণ এক লক্ষ জেলে পরিবারকে মাসে ৩০ কেজি চাল ৫০০ টাকা করে দিলে তিন মাসে খরচ হবে প্রায় ৫০ কোটি টাকা; কিন্তু এর ফলে বছরে কয়েক কোটি টাকার সমমূল্যের মাছের ফলন বাড়বে হাওরের সুস্বাদু মাছ বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রাও উপার্জন করা যাবে তবে বিষয়টিকে শুধু ক্যালকুলেটর টিপে আর্থিক হিসাবের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবেনা এর সামাজিক পারিপার্শ্বিক প্রভাব আরও সুদুর প্রসারি

জেলেদের আরও একটি প্রশ্ন রয়েছে তিন চার মাস মাছ না ধরার পরে যে মাছটি বড় হবে সে মাছ কি জেলেরা ধরতে পারবেন? যদি তারা মাছ না- ধরতে পারেন তবে মাছ বড় হলে তাদের লাভ কি? তাদের মনে এই প্রশ্ন জাগার সংগত কারণও রয়েছে ইতিপূর্র্বে মাছ ধরতে গিয়ে ইজারাদারদের গুলিতে অনেক জেলেকে জীবন দিতে হয়েছে জেলেদের রক্তে লাল হয়েছে হাওরের শান্ত জলরাশি এমনটি হওয়ার কথা ছিলনা কারণ কাগজে কলমে মৎসজীবি সমিতিকেই জলাভূমি ইজারা দেওয়া হয় জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০০৯ এর () অনুযায়ীপ্রকৃত মৎসজীবী সংগঠন স্থানীয় পর্যায়ে সমবায় অধিদপ্তরে বা সমাজসেবা অধিদপ্তরে স্থানীয় জলমহাল ব্যবস্থাপন নিবন্ধিত হলে স্থানীয় জলমহাল ব্যবস্থাপনা বা ইজারায় অংশ গ্রহণ করতে পারবেন তবে কোন সমিতিতে যদি এমন কোন সদস্য থাকেন যিনি প্রকৃত মৎসজীবী নহেন, তবে সে সমিতি কোন সরকারী জলমহাল বন্দোবস্ত পাওয়ার যোগ্য হবে না কোন ব্যক্তি বা কোন অনিবন্ধিত সমিতি সরকারী জলমহাল ব্যবস্থাপনায় আবেদন করতে পারবেন নাকিন্ত বাস্তবে প্রকৃত মৎসজীবী নয় অমৎসজীবীরাই লীজ নিচ্ছেন বেশী কোন কোন ক্ষেত্রে প্রকৃত মৎসজীবীদের সমিতি লীজ পেলেও তাদের নাম করে স্থানীয় প্রভাবশারীরাই ভোগ করছেন জলাভূমি আবার কখনও বাহারি মৎসজীবী সমিতি নামে যে সংগঠন দেখানো হচ্ছে সেখানে কোন মৎসজীবী নেই এইসব অমৎসজীবিরাই তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সাধারণ জেলেরা মাছ ধরলে গুলি চালায় এদের অত্যাচার থেকে হাওরবাসীকে রক্ষা করতে হাওর অঞ্চলে প্রয়াত কমরেড বরুণ রায়ের নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল ভাসান পানি আন্দোলন তাদের দাবি ছিল ইজারাদাররা যেন তাদের ইজারাকৃত নির্দিষ্ট জায়গায় বাইরে সাধারণ জেলেদের মাছ ধরতে বাধা না দেয় বরুণ রায়ের সেই আন্দোলন এখনো প্রাসঙ্গিক কার্যত জলমহালের সীমানা সঠিকভাবে চিহ্নিত নয় প্রভাবশালী ইজারাদাররা তা হতে দেয় না এতে তারা ইচ্ছামত যে কোন অঞ্চলে মাছ ধরতে পারে এবং জেলেদের বাধা দিতে পারে তাই জলমহালের সীমানা নির্ধারিত না হলে মাছের উৎপাদন বাড়লে জেলেরা তেমন লাভবান না হওয়ার আশংকাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না 

জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালায়ও কিছু পরিবর্তন চান জেলেরা নীতিমালা অনুযায়ী ২০ একর এর ছোট বিলগুলো লীজ দেন উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং ২০ একর এর বেশী আয়তনের জলমহাল ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি তিন বছরের জন্য বন্দোবস্ত প্রদান করে জেলা মৎস কর্মকর্তা মৎসজীবী সংগঠনকে চিহ্নিত করেন রেজিস্ট্রশনের করে জেলা সমবায় অফিস সেক্ষেত্রে যদি যাচাই করে দেখা যায় যে, সমিতির দেয়া তালিকায় সকলে প্রকৃত মৎসজীবী, তবে উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা জেলা জল মহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির বিবেচনার জন্য প্রত্যায়ন পত্র দিবেন উপজেলা জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটিতে ১৫ জন করে সদস্য থাকেন ১৫ জনের এই কমিটি ুটিতে মৎসজীবী সদস্য আছেন মাত্র জন এদের ছাড়াই কোরাম হয় তাই সভাগুলোতে এদের সচরাচর উপস্থিত হতে দেখা যায় না কমিটিতে মৎসজীবি সদস্য বাড়ানোর দাবি করছেন জেলেরা কমিটিতে সংসদ সদস্যকে উপদেষ্ঠা রাখা হয়েছে এই উপদেষ্ঠার উপদেশে অনেক কলকাটি নড়ে তাই কমিটির অনেক সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় অগণতান্ত্রিকভাবে জেলেরা সংসদ সদস্যকে উপদেষ্ঠা না রাখারও দাবি জানাচ্ছেনপ্রকৃত মৎসজীবিদের জলমহাল ইজারা দিলে মাছের যেমন উৎপাদন বাড়ত তেমনি জেলেদের অধিকারও সুরক্ষা হত কিন্তু জেলেদের  সক্ষমতা না বাড়লে তা সম্ভব নয় এজন্য জেলেদের বিনা সুদে সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে একই সাথে কমাতে হবে লিজ মানিও

প্রত্যেক হাওরে গড়ে তুলতে হবে মৎস অভয়াশ্রম প্রজনন কেন্দ্র এসব অভয়াশ্রমে কখনো মাছ ধরা যাবে না আগের মত পাইল ফিশিং চালু রাখতে হবে অর্থাৎ প্রতি বছর নয়, তিন বছর পরপর মাছ ধরতে হবে বন্ধ করতে হবে অবৈধভাবে বিল সেচ দিয়ে বা বিষ দিয়ে মাছ ধরা এতে মাছ যেমন বাড়বে তেমনি মাছের প্রজাতিও রক্ষা পাবে হাওরে মাছের উৎপাদন বাড়াতে হলে হাওরে পরিবেশ প্রকৃতিকে সুরক্ষা করতে হবে হাওরে জ্বালানী হিসেবে লতাগুল্ম, নলখাগড়া বা গাছ ব্যকহার করা হয় এতে পরিবেশের ক্ষতি হয় এবং মাছের আবাশস্থল নষ্ঠ হচ্ছে তাই পরিবেশ রক্ষায় মাছের ফলন বাড়াতে বিকল্প জ্বালানীর ব্যবস্থা করতে হবে পর্যটনের নামে পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ বন্ধ রাখতে হবে যেখানে সেখানে ফসল রক্ষা বাঁধ দিয়ে, বা আবুড়া সড়ক নির্মাণ করে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে এতে মাছের বিচরণ ক্ষেত্র কমে যাওয়ায় মাছের ফলন কমছে ধানের উৎপাদন বাড়াতে গিয়ে হাওরের জমিতে অধিক হারে কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে এই কীটনাশকের বিশক্রিয়া মাছের বংশ বিস্তারে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মাছের ফলন বাড়াতে হলে এসব বিষয়ে হাওরের মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে

দেশের মিষ্টি পানির মাছের একটা বড় অংশ আসে হাওর থেকে; কিন্তু হাওর অঞ্চলে কোন মৎস্য গবেষণাগার নেই মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের যে টি গবেষণা কেন্দ্র বা টি উপকেন্দ্র রয়েছে তার কোনটিই হাওরে অবস্থিত নয় এমনকি মৎস্য অধিদপ্তর থেকে বড় কয়েকটি প্রকল্প চলমান থাকলেও এর কোনটিই হাওরের জন্য নয় যা অধিদপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদন দেখলেই স্পষ্ট ভাবে বুঝা যায় তাই হাওরে মাছের উৎপাদন বাড়াতে এখনি এখাতে গবেষণা বাড়াতে হবে এবং নিতে হবে সৃজনশীল প্রকল্প হাওরে মৎস গবেষণাগার কয়েকটি মৎস হ্যাচারি প্রতিষ্ঠা জরুরী

হাওরবাসীকে শুধু ধান বা মাছের উপর নির্ভরশীল না রেখে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে হাওরের সীমান্তবর্তী এলাকার উল্যেখযোগ্য সংখ্যক শ্রমিক বালু পাথর উত্তোলনে কাজ করেন কিন্তু বালু পাথর উত্তোলনের কাজে মেশিন ব্যবহার করায় বছর খানেক ধরে কর্মসংস্থানের সেই পথটিও বন্ধ হতে চলছে তাই শ্রমিকরা মেশিন দিয়ে বালু পাথর উত্তোলন না করার দাবি জানাচ্ছেন মৎস উৎপাদন বাড়লে মৎস প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পেও নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্ঠি হবে

জাটকা নিধন বন্ধ করে ইলিশের ফলন বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ যেভাবে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে তেমনি হাওরে মাছের ফলন বাড়িয়েও বিশ্বকে অবাক করা যাবে হাওরে দূর হবে বেকারত্ব, কমবে দারিদ্র এজন্য সরকারকে এখনি উদ্যোগ নিতে হবে তবে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত সমর্থন সহযোগিতা ছাড়া উদ্যোগ সফল হবে না দরকার সামাজিক ঐক্য হাওরপারের জেলেদের এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে নিশ্চয় সরকারীভাবে কোন উদ্যোগ নেওয়া হলে হাওরবাসী এগিয়ে আসবেন সবপক্ষ এগিয়ে এলেই হাওরে হবে মৎস বিপ্লব সেদিনের অপেক্ষায় রইলাম

কাসমির রেজা : সভাপতি, পরিবেশ হাওর উন্নয়ন সংস্থা

[email protected]

    আরো পড়ুন